বসন্তে ভালোবাসায় ফুল…

প্রকাশঃ ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৫ সময়ঃ ৪:২৩ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১২:৫৪ অপরাহ্ণ

ইফতেখার রাজু, প্রতিক্ষণ ডট কম.

0,,16742817_303,00‘বসন্ত বাতাসে সই গো, বসন্ত বাতাসে; বন্ধুর বাড়ির ফুলের সুবাস আমার বাড়ি আসে’…. আজ পহেলা ফাগুন, বসন্তের শুরু। আর আগামীকাল ভ্যালেন্টাইনস ডে। পহেলা ফাগুন আর ভ্যালেনটাইন ডে বা বিশ্ব ভালোবাসা দিবসকে সামনে রেখে অনেক আগে থেকেই নিজেদের সাজাতে শুরু করেন তরুণরা।

রাত হলেই যখন বাতাসে পেট্রল বোমায় পোড়া মানুষের মাংসের গন্ধ ভাসে, যখন মানুষ প্রতিটি দিন পার করছে আতংকের মাঝে তখন বসন্ত আর ভ্যালেনটাইন ডে

এসেছে ঘুমিয়ে থাকা তরুণদের জাগাতে। পহেলা ফাগুন এবং ভ্যালেনটাইন ডে’কে ঘিরে তরুণদের ভাবনার শেষ নেই। কে কীভাবে সাজবেন, কী করবেন, কোথায় যাবেন, কাকে সাথে নিবেন বা কার সাথে যাবেন চলেছে ভাবনা। রাজধানীল তেজগাঁও কলেজের সাহিত্যের  শিক্ষার্থী অমিত, মাশায়ান, সম্রাট ও আঁখি সবাই জানাল দিন দুটিকে ঘিরে তাদের পরিকল্পনার কথা।

প্রথমত,পহেলা ফাগুনে তারা হলুদ বরণ করে সাজবেন পরে বন্ধুদের সাথে ঘুরতে বের হবেন। একই ভাবে ভ্যালেনটাইন ডে’ হবে শুধু ভালোবাসাময়। ওই দিন বরাদ্দ থাকবে শুধু প্রিয় মানুষটির জন্যে। আঁখি বললেন,বই পড়তে ভালোবাসি। তাই মনের মানুষকে নিয়ে ১৪ই ফেব্রুয়ারী বাংলা একাডেমির বই মেলা যাওয়ার মজাটা হবে অন্যরকম। প্রত্যেকেই তাদের বন্ধুদের জন্য ফুলের সাথে বই, শো’পিস গিফট করবেন’।

 ফুল ছাড়া কি প্রিয় মানুষকে হৃদয়ের জমে থাকা ভালোবাসার কথা বলা যায়? প্রিয় মানুষটিকে মূল্যবান কোন উপহার দিতে পারুক আর নাই পারুক ছোট্ট একটি ফুল তুলে দিয়ে প্রকাশ করতে পারে হৃদয়ের গভীর ভালোবাসা। আর তাই পহেলা বসন্ত ও বিশ্ব ভালবাসা দিবস উপলক্ষ্যে বেড়েছে ফুলের কদর।

দিবস দুটি উপলক্ষ্যে নগরীর সড়ক গুলোতে ফেরি করে ফুল বিক্রি করতে দেখা গেছে বিক্রেতাদের। ফুল আছে ফুল.. তাদের এমন হাক ডাকে সৌন্দর্য পিয়াসী তরুণ-তরুণীরা আসছেন ফুল কিনতে। দর দাম করে কিনছেন ফুল। ফুল বিক্রেতা আসিফ জানান, বসন্ত দিবস ও ভ্যলেন্টাইন ডে উপলক্ষ্যে বেড়েছে ফুলের কদর। স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রী সহ সব বয়সের মানুষ ফুল কিনছেন। প্রতিটি কালার ষ্টিক ২০ টাকায়, রজনী গন্ধা ষ্টিক ১৫ টাকায়, বিভিন্ন রঙের গোলাপ ১৫ টাকায়, রেনোমেক্স ১৫ টাকায় বিক্রি করছেন তিনি।

লাইফ-২১

ফুল কিনতে আসা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী নাজনীন বলেন, বিশেষ দিবস উপলক্ষ্যে ফুলের দাম একটু বেশি। তবে এই দুটি দিনে ফুল উপহার দিয়ে অকপটে মনের কথাটি বলে ফেলা যায়।

কিন্তু দেশে লাগাতার অবরোধ এবং হরতালের ফাঁদে আটকে পড়ায়, দোকানীরা দোকান সাজাতে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছেন। এতে করে আশানুরূপ ব্যবসা হচ্ছেনা তাদের। যদি দোকানই ঠিক মত সাজানো না যায় তবে বিক্রি হবে কেমন করে এমন বক্তব্য দোকানীদের।

তবে রাজধানীর  কয়েকটি ফুল দোকান ও গিফট সপের বিক্রেতারা জানালেন তাদের স্টলগুলো আবাসিক এলাকা এবং কোচিং সেন্টার ও শিক্ষা সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানের আশে পাশে হওয়ায় হরতালের মাঝেও দোকান খুলেছেন। বেচা বিক্রি ভালই হচ্ছে। বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটির হিসাব অনুযায়ী, সারা দেশে ১০ হাজার ফুলের পাইকারি দোকান রয়েছে। খুচরা দোকান রয়েছে প্রায় ২৫ হাজার।  ৩০০ গোলাপে এক বান্ডিল- স্বাভাবিক দিনে এমন বান্ডিল বিক্রি হয় ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা।

ঢাকা ফুল ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির হিসাব অনুযায়ী, ঢাকায় ফুলের সব চেয়ে বড় আড়ত শাহবাগ। এরপরে অবস্থান রাজধানীর খামারবাড়ি। এছাড়া, বিভিন্ন স্থানে বিচ্ছিন্ন ও বিক্ষিপ্তভাবে রয়েছে আরও অনেক খুচরা দোকান।

সূত্র জানায়, শুধু শাহবাগে রয়েছে ১২০টি ফুলের দোকান। খুচরা রয়েছে আরও ১০০টি ফুলের দোকান। সমিতির তথ্য অনুযায়ী, এবারের ভালবাসা দিবসে রাজধানী ঢাকায় ৪ কোটি টাকার ফুল বিক্রি হবে। আর এর বেশির ভাগই হবে শাহবাগে।

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G